নতুন প্রকাশনা সমূহ:

তিন পেনাল্টি, সুয়ারেজের টানা ৪ গোল, বার্সার বড় জয়

আবারও গোল-বন্যা। ছবি: এএফপিআবারও গোল-বন্যা। ছবি: এএফপি৬-০, স্কোর লাইন বলবে না, এমন জয়ের মধ্যেও কী ভীষণ টেনশনে ছিল বার্সেলোনা। ৬-০, স্কোর লাইন এও বলবে না, এমন জয়ের পরও বার্সেলোনা এখনো টেনশনেই থাকবে। কাল নানা ঘটনাবহুল ম্যাচে ৬২ মিনিট পর্যন্ত ১-০ গোলের অস্বস্তির লিড নেওয়া বার্সা শেষ মুহূর্তের ঝড়ে জিতল আধ ডজন গোলে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল বন্যা। দুই ম্যাচে ১৪ গোল করে যেন প্রায়শ্চিত্ত করছে লুইস এনরিকের দল। যে গোলবন্যায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন আরেক লুইস। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে চার গোল করলেন সুয়ারেজ।
শেষ ১৬ মিনিটে স্পোর্টিং গিজনের গোলে বার্সা দিয়েছে চার গোল। তিনটাই এসেছে পেনাল্টি থেকে। এক ম্যাচে তিন পেনাল্টি হলে রেফারির সমালোচনা হবেই। কাল কার্লোস গোমেজ বেশ কিছু সিদ্ধান্তে বেশ কড়া ছিলেন। বার্সার অবশ্য এখন পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই। ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে কাল তিনবার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থান বদল হয়েছে। ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও দুর্দান্ত জয় নিয়ে মাঠ ছেড়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছিল রিয়াল। দুই ঘণ্টা পর এক গোলের জয় দিয়ে অ্যাটলেটিকো আবার শীর্ষে উঠে যায়। শেষে ঘাম ঝরিয়েই ৬-০ গোলের জয় দিয়ে আবারও শীর্ষে ফেরে বার্সা। লা লিগার বর্তমান পরিস্থিতি বোঝাতে এই তথ্যই যথেষ্ট।

৬-০ গোলের জয়কেও ঘাম ঝরানো কেন লেখা হচ্ছে সেটা ম্যাচ না দেখলে বোঝা যাবে না। বার্সার খেলায় সেই ধার পাওয়া যাচ্ছিল না কিছুতেই। ১৩ মিনিটে বক্সের প্রান্ত থেকে লিওনেল মেসির লম্বা হেডার এগিয়ে দিলেও কিছুতেই আর গোলের দেখা পাচ্ছিল না। বরং অবনমনের শঙ্কায় ধুঁকতে থাকা গিজন প্রায়ই ন্যু ক্যাম্পকে আতঙ্কিত করে তুলছিল পাল্টা আক্রমণে। ক্লদিও ব্রাভো একবার দুর্দান্ত সেভ করে আশা টিকিয়ে রেখেছেন। গোল লাইন থেকে সেভ করেছেন জেরার্ড পিকে। ১-০ কিছুতেই স্বস্তির স্কোর নয়।

সেটাই ২-০ করতে ৬২ মিনিট লেগেছে বার্সার। যদিও সুয়ারেজের গোলটি অফসাইড থেকে এসেছিল। এখান থেকেই ঘুরতে শুরু ম্যাচের মোড়। ৭৪ ও ৭৭ মিনিটে টানা দুই পেনাল্টি থেকে ৪-০ করেন সুয়ারেজ। পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিকও। ৮৫ মিনিটে বার্সা আবারও পেনাল্টি পেলে এবার আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ধুঁকতে থাকা নেইমারকে দেওয়া হয় গোলের সুযোগ। অবশেষে নেইমার গোল-খরা কাটান। ৮৮ মিনিটে মৌসুমে নিজের ৫৩তম গোলটি করেন সুয়ারেজ। স্পেনের ফুটবলের ইতিহাসে মাত্র চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে গোলের ফিফটি করলেন এই উরুগুইয়ান।

বার্সা বিশাল বড় জয় পেয়েছে, এমএসএন-ত্রয়ী আবারও এক ম্যাচে গোল করেছেন, তবু এই ম্যাচ বার্সার জন্য খুব বেশি স্বস্তির হয়ে থাকল না। অস্বস্তি তো অবশ্যই বাকি তিন ম্যাচও জিততেই হবে এমন সমীকরণ এখনো থাকল বলে। তবে আরও বড় অস্বস্তি কাল মিনিট ১৫ বাদে বার্সার খেলায় সেই ছন্দ ছিল না, বরং ছিল ক্লান্তি ছাপ। এর থেকে বের হয়ে আসাই
এখন সবচেয়ে জরুরি।

মেসি দ্রুতই ছন্দে ফিরেছেন। সুয়ারেজও। কাল তো পিচিচি ট্রফির লড়াইয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেও পেরিয়ে গেলেন লিগে ৩৪ গোল করে। তবে নেইমার অন্তত তিনটা সহজ গোলের সুযোগ হাতছাড়া, গোলমুখে বল পেয়েও শট নেব-কি-নেব-নার দোদুল্যমানতায় থেকে করে বুঝিয়েছেন, বড় মাপের খেলোয়াড়রাও কঠিন সময়ে কতটা অসহায়। অবশ্য পেনাল্টির আগে-পরের সময়টায় নেইমারের খেলায় সেই হারানো ঝলক ছিল। পেনাল্টি গোলটা আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেবে সন্দেহ নেই।

লিগে বার্সার বাকি তিন ম্যাচ রিয়াল বেতিস, এসপানিওল ও গ্রানাডার বিপক্ষে। একটি নিজেদের মাঠে, বাকি দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ। এনরিকে অবশ্য কাল বেশ ঘোষণার সুরেই বলেছেন, বার্সা আর পথ হারাবে না। কারণ বার্সাই নাকি হবে চ্যাম্পিয়ন।

যদিও কালকের গোল-বন্যাতেও দুশ্চিন্তার খড়কুটো পুরোটা ভেসে কিন্তু যায়নি!

Leave a Reply

পূঞ্জিকা

March ২০২৪
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
« Mar    
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১