বিগত কিছুদিন ধরে প্রথম আলোর মেডিকেলে ভর্তির ব্যাপারে সহযোগিতার খবর দেখে খুব ভাল লাগছে। আরো ভাল লাগছে মানুষ নিস্বার্থভাবে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসছে দেখে। প্রথম আলো যদি মেডিকেল ভর্তির পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিং এ গরিব ছাত্রদের সহযোগিতার ব্যাপারে নিউজ করত তাহলে অনেক মেধাবি ছাত্রের পড়াশুনা করা সহজ হত। ইঞ্জিনিয়ারাও দেশকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখে।
ধন্যবাদ প্রথম আলো কে।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন আরজুমান। কিন্তু টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছেন না। ভর্তি হওয়া এবং এরপর পড়াশোনা কী করে চালিয়ে যাবেন, সেই দুশ্চিন্তা তাঁকে তাড়া করছে।
আরজুমানের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পৌর শহরের পশ্চিম রঘুনাথপুর মহল্লায়। তিনি ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। চলতি মাসের ২০ থেকে ৩১ তারিখের মধ্যেই ভর্তি হতে হবে। কিন্তু এ জন্য যে টাকা দরকার, তা তাঁর পরিবারের নেই। আরজুমানের বাবা আকবর আলী সামান্য বেতনে রাজধানীতে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করেন। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে আরজুমান বড়।
আরজুমান গত রোববার প্রথম আলোকে বলেন, মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁদের হতদরিদ্র পরিবারের কথা ভাবলে ও মা-বাবার মুখের দিকে তাকালে তাঁর মন ভেঙে যায়। প্রথমে ভর্তি হওয়ার টাকাটা জোগাড় করতে পারলে হয়। তারপর না-হয় ছাত্র পড়িয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন। আরজুমানের বাবা আকবর আলী বলেন, তাঁদের মতো গরিব ঘরের মেয়ে চিকিৎসক হবেন, তা অনেক বড় ব্যাপার। কিন্তু বাড়ির ভিটেটুকু আর তাঁর ওই সামান্য বেতনের চাকরি ছাড়া সহায়সম্বল বলতে কিছু নেই।
You must be logged in to post a comment.
Nice