’ও রে সাম্পানওয়ালা তুই আমারে করলি দিওয়ানা’, ’সালাম-সালাম হাজার সালাম’, ’তুমি যে আমার কবিতা’, ’নীল আকাশের নীচে আমি রাস্তায় চলেছি একা’, এমন অনেক গান বাঁশির সুরে তুলতে সক্ষম চাঁদপুরের অন্ধ বাঁশিওয়ালা নারায়ন। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা না হলেও তিনি যে মানুষের হৃদয় আঁকড়ানো বাঁশি বাজান তার সম্মুখ প্রমান প্রতিবেদক নিজেই। বাঁশি থামিয়ে ইন্টারভিউ নেওয়া মানে তার রিজিকে বাঁধা দেয়া। তাই কিছু না জিজ্ঞেস করে শুধু আপন মনে শুনে গেলাম বাঁশির সুর।
’বাঁশি কেনো গায় আমারে কাঁদায়’, তার বাঁশির সুরে মুগ্ধ করে তার চলার পথে অসংখ্য ভক্তদের। জীবিকার তাগিদে বেশিরভাগ সময় শহরের আনাচ-কানাচ বাঁশি বাজিয়ে বেড়ান তিনি। সংসারের বোঝা টানতে নিজের মেয়েকেও নিয়ে আসেন সাথে। বিশেষ করে সন্ধ্যায় শহরের সপ্তডিঙা এবং মালঞ্চ মার্কেটের সামনে বাঁশিতে সুর তোলেন এ অন্ধ বাঁশিওয়ালা।
’প্রতিদিন কত খবর আসে যে কাগজের পাতা ভরে, জীবন পাতার অনেক খবর রয়ে যায় অগোচরে’, হয়তো প্রতিদিনই অনেক খবর কাগজের পাতায় বের হয়, শুধু বের হয়না অন্ধ এই বাঁশিওয়ালার খবর। ব্যস্ত এই জীবনে কেউ জানতেও চায় না এ বাঁশিওয়ালাও যে অপার প্রতিভার অধিকারি। কারো সহযোগিতা পেলে হয়তো এই বাঁশিওয়ালার জীবনে নতুন কোন অধ্যায় রচিত হবে এমনটাই মনে-প্রাণে বিশ্বাস।
চাঁদপুরের আনাচ কানাচ ঘুরে রিফাত কান্তি সেন